Counseling Service

কাউন্সেলিং বলতে কী বোঝায়?

কখনও কখনও আমাদের জীবনে এমন সব বাধা আসে, যেগুলির জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত থাকি না বা তাদের সম্মুখে সমাধান করতে সক্ষম হই না। এতে আমাদের মধ্যে নিরস্ততা, অবস্থাপন্নতা, ক্রোধ, অসামর্থ্য, ভীতি, আশাহীনতা, দু:খ বা অক্ষমতা উদ্ভব হতে পারে। এই সময়ে আমরা সমস্যাগুলির সাথে মুখোমুখি হতে সক্ষম নই এবং অবস্থার সাথে তৈরি হওয়া যায় না। এই সময়ে, কাউন্সেলিং এর সাহায্যে একটি ব্যক্তি তার জীবনের ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি সমাধান করতে সাহায্য পেতে পারে, এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামর্থ্য অর্জন করতে পারে।

কাউন্সেলিং কাদের জন্য ?

সবার জন্য কাউন্সেলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে যখন আমরা জটিল পরিস্থিতিতে পড়ি, তখন পরামর্শ অত্যন্ত সাহায্যকারী হতে পারে। এটি একটি প্রক্রিয়া বা বিন্যাস যা আমাদেরকে আমরা নিজেকে ভাল করার জন্য শিখতে বা আমাদের আত্মবুদ্ধি বৃদ্ধি করার জন্য শিখায়।

 কাউন্সেলিং আমাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন আনে, আমাদের আত্মনির্ভরতা ও মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। এসব কিছুই একজন মানুষের সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়তা করে এবং জীবনের সার্থকতার সঙ্গেও এর গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

  • কঠিন অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া – রাগ, ভয়, উদ্বেগ, যন্ত্রণা, একাকিত্ব, মানসিক চাপ

  • সম্পর্কজনিত সমস্যা – পারস্পরিক সম্পর্কের দ্বন্দ্ব, ভাঙন, বৈবাহিক ও পারিবারিক বিবাদ

  • নির্যাতনের মোকাবিলা করা – শারীরিক, যৌন, মৌখিক বা মানসিক

  • লিঙ্গ পরিচয়, যৌন সমস্যা ক্ষেত্রে

  • জীবনের সন্ধিক্ষণ ও প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করা – চাকরি, বিবাহ, স্বামী-স্ত্রীর আলাদা হয়ে যাওয়া, বিবাহ বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া, কাজ থেকে অবসর নেওয়া

  • কর্মক্ষেত্রের সমস্যা – ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, কৃতিত্ব, ক্যারিয়ারের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সন্তুষ্টি,

  • মানসিক অসুস্থতা যেমন – অবসাদ, স্কিৎজোফ্রনিয়া

  • শারীরিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করা

  • কোনও কিছুর প্রতি আসক্তি, নিজের ক্ষতি করা এবং আত্মহত্যার চিন্তা সঙ্গে মোকাবিলা করা

  • মৃত্যু, প্রিয় বস্তু হারিয়ে ফেলার দুঃখের সঙ্গে মোকাবিলা করা

  • মানসিক আতঙ্ক ও অক্ষমতা কাটাতে সচেষ্ট হওয়া

  • শারীরিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ কারোর পরিচর্যার কাজে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া

  • লেখাপড়াজনিত চাপ, পারিবারিক বিবাদের প্রভাব, প্রিয়জনের চাপ, জোরজবরদস্তি প্রভৃতি।

 কাউন্সেলিং আমাদের আচার-আচরণে পরিবর্তন আনে, আমাদের আত্মনির্ভরতা ও মানসিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। এসব কিছুই একজন মানুষের সর্বাঙ্গীন বিকাশে সহায়তা করে এবং জীবনের সার্থকতার সঙ্গেও এর গভীর যোগাযোগ রয়েছে।

ছয়মাস মেয়াদী মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা/কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণের জন্য বিস্তারিত জানতে

X